মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষাশিক্ষাঙ্গণ

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের প্রতি অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন নির্দেশনা – মাউশি

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের প্রতি অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন নির্দেশনা: মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন নির্দেশনাটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ২৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখে প্রকাশিত হয়। ‌

মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ মূল্যায়নের নির্দেশনা ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়-

মাধ্যমিক পর্যায়ের সম্মানিত শিক্ষকগণ,

আপনারা জানেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এম.পি. ও মাননীয় শিক্ষা উপ মন্ত্রী জনাব মুহিবুল হাসান চৌধুরী এম.পি.-র দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশের গােটা শিক্ষা পরিবার কাজ করে যাচ্ছে।

করােনা সংক্রমণ জনিত কারণে স্কুল বন্ধ থাকলেও আপনারা নানাভাবে পাঠদান করে আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণ যেন অব্যাহত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখেছেন।

সর্বশেষে যে কাজটি আপনারা এখন আন্তরিকতার সাথে করছেন সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া, গ্রহণ করা, মূল্যায়ন করা এবং শিক্ষার্থীদেরকে পুনরায় সেই মূল্যায়িত এ্যাসাইনমেন্টটি দেখিয়ে তা স্কুলে সংরক্ষণ করা।

লক্ষ্য করা যাচ্ছে উপরে উল্লিখিত প্রত্যেকটি কাজ আপনারা নিয়মিত করছেন।

কেবল একটি বিষয় আপনাদের আরও মনযােগ দিয়ে করতে হবে। সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীর খাতায় আপনি যখন “অতি উত্তম” “উত্তম” “ভাল” বা “অগ্রগতি প্রয়ােজন” লিখছেন, সেটা কেন লিখছেন তার কারণ ইতােমধ্যে প্রেরিত “শিক্ষকের জন্য মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুসরণ করে বিস্তারিত ভাবে এ্যাসাইনমেন্টের ওপর লিখতে হবে।

যেন শিক্ষার্থী তার সবলতা বা দুর্বলতা বুঝতে পারে। এবং পরে আমরা যখন এসব এ্যাসাইনমেন্ট গুলাে সংগ্রহ করে পর্যালােচনা করবাে সেক্ষেত্রেও আপনার মূল্যবান বিস্তারিত মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আপনারা যদি এই এ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন সফল ভাবে সম্পন্ন করতে পারেন, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদশের শিক্ষা ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করবে।

আমাদের শিক্ষার্থীদের মুখস্থ নির্ভরতা কমবে, তারা সূক্ষ্ম চিন্তা করতে শিখবে এবং সৃষ্টিশীল হবে।

পরীক্ষা দেওয়ার সময় তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বােধ করবে, পরীক্ষা ভীতি চলে যাবে এবং পরীক্ষা হয়ে উঠবে শিখনফল অর্জনের অন্যতম মাধ্যম।

অর্থাৎ পরীক্ষা দিতে দিতে নিজের অজান্তেই তারা অনেক কিছু শিখে ফেলবে।

আসুন করােনা আমাদের জন্য যেসব সমস্যা তৈরি করেছে, সেসব সমস্যাকে সুযােগে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সােনার বাংলা তৈরি করার জন্য যে গুণগত শিক্ষা প্রয়ােজন তা যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে পারে তা নিশ্চিত করি।

মাউশি মহাপরিচালক জনাব প্রফেসর ড. সৈয়দ মাে. গােলাম ফারুক স্বাক্ষরিত মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের প্রতি অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন নির্দেশনা বিজ্ঞপ্তিটি ডাউনলোড করুন
নির্দেশনাটি ডাউনলোড করুন

দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, চাকরি, বৃত্তি, প্রশিক্ষণ সহ সকল তথ্য সবার আগে পেতে ফেসবুকে বাংলা নোটিশ ডটকমের ফেসবকু পেইজ Like & Follow করে রাখুন এবং ইউটিউবে আপডেট পেতে ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

আপনার জন্য আরও কিছু জরুরী বিজ্ঞপ্তি:

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ